উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবার ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
Published : 06 Nov 2019, 10:08 PM
একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে কোনো অফিস বা আবাসিক এলাকায় কাউকে অবস্থান না করতেও বলা হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার পর ‘প্রায় সব শিক্ষার্থী’ হল ছেড়ে গেলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার পর মঙ্গলবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বুধবার সাড়ে ৫টার মধ্যে হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। হল না ছাড়লে পুলিশ দিয়ে তাদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
“ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলসমূহ ত্যাগ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের দোকানপাটও বন্ধ করা হয়েছে। তাই এই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার্থীর অবস্থান সমীচীন নয়।
“এমতাবস্থায় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ এবং সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে সভা-সমাবেশ, মিছিল কিংবা কোনো অফিস বা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করতে পারবে না।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত ২৩ অগাস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
কয়েকদিন আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় আন্দোলনকারীরা দুর্নীতির তদন্তের দাবি করেন। কিন্তু দুর্নীতির পরবর্তীতে তদন্তের দাবি পূরণ না করা হলে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।