শাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ‘জালিয়াতি’, আটক ৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নগরীর পৃথক চারটি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয় বলে প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।

আটকরা হলেন বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো. শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের এবং আড়াইটায় ‘বি’ ও ‘বি-১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ক্যাম্পাসসহ নগরীর ৪৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রক্টর বলেন, বিকালে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলকালে মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে একজন, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন, সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে একজন এবং মদিনা মার্কেটস্থ শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে দুই শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ আটক করেন দায়িত্বরত শিক্ষকরা।

“ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরেসহ এমন এক ধরনের নতুন ডিভাইস তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, যাতে সিম লাগিয়ে হেডফোন দিয়ে বাইরে কথা বলা যায়।”

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেবে।

আটকদের পুলিশে হস্তান্তর করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন মামলা করবে বলে উপাচার্য জানান।

কিন্তু সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন, “এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

২০১৭-১৮ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার দুই শিক্ষার্থীকে এবং ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার দুই শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছিল।