পঞ্চগড়ে হজে যেতে ইচ্ছুক ৩৭ জনের কাছ থেকে সাড়ে ৭২ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাদের হজযাত্রাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
Published : 05 Aug 2019, 10:24 PM
এ ব্যাপারে তারা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন বলে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন।
সদরের চাকলাহাটের হামিদুল হক ও তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খটপাড়ার খলিলুর রহমান বলেন, সদরের টুনিরহাটের ওয়াছেদ আলী শাহ ও কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আব্দুল জলিলের কাছে হজে যেতে ৩৭ জন প্রত্যেকে প্রাক নিবন্ধনের জন্য ৩১ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়েছেন।
এ সময় তাদের এ টি এম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিমিটেড এবং সানফ্লাওয়ার এয়ার লিংকার্স নামে দুটি হজ এজেন্সির রশিদ দেওয়া হয় বলে তারা জানান।
তাদের অভিযোগ, পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে আরও টাকা নেওয়া হয়। এতে একেকজনকে দেড় লাখ থেকে তিনলাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। সবমিলিয়ে তারা প্রায় প্রায় ৭২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে হজে যেতে ১৭ জুলাই, ২০ জুলাই ও ৩ অগাস্ট সম্ভাব্য বিমানযাত্রার তারিখও দেওয়া হয়।
তারা বলেন, এর মধ্যে তারা ঢাকায় ওই দুটি হজ এজন্সির কার্যালয়ে গিয়ে তাদের হজযাত্রার জন্য কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি বলে জানতে পারেন। সবশেষে জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
হামিদুল হক বলেন, “আমি হজে যাওয়ার জন্য ওয়াছেদ আলী শাহকে তিন লাখ ১৬ হাজার টাকা দেই। আমাকে প্রথমে ২০ জুলাই ও পরে ২৯ জুলাই বিমানে নিয়ে যাওয়ার তারিখ দেওয়া হয়। এখন ওয়াছেদ আলীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আমার জমা দেওয়া পাসপোর্টটাও তারা ফেরত দিচ্ছে না।”
ওয়াছেদ আলী শাহ ও আব্দুল জলিলের মোবাইল নম্বরে ফোন করে বন্ধ পেয়েছেন এই প্রতিবেদকও।
তবে ওয়াছেদ আলী শাহর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আব্দুল জলিলের দেওয়া রশিদ কেটে বাবা হজ যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেন। সেই টাকা আব্দুল জলিলের একাউন্টে জমা দেওয়ার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।”
আসলে আব্দুল জলিল এজেন্সিগুলোতে টাকা জমা না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে, বলেন জাহাঙ্গীর।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “৩৭ জন হজ যাত্রীর বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জেনেছি যে তারা পূর্ণাঙ্গভাবে নিবন্ধিত হননি। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকেও কিছুই করা যাচ্ছে না। তবে প্রতারণার শিকার হজ যাত্রীদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”