ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তার বাবা ও সৎ ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 27 Jul 2019, 10:56 AM
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই ভুষণ চন্দ্র বর্মন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি পশ্চিম মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম (৩৭) কচুবাড়ি পশ্চিম মুন্সিপাড়া এলাকার দবিরুল ইসলামের ছেলে।
তার সৎ ভাই সাইফুল ইসলামের পাশাপাশি বাবা দবিরুলকেও আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর বরাতে এসআই ভুষণ চন্দ্র বর্মন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে প্রথম স্ত্রী জাহেদা বেগমের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে দবিরুলের। ওই স্ত্রীর ঘরে ২ মেয়ে ও ১ ছেলের একজন রফিকুল। দবিরুল পরে সালেহা খাতুন নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন, তার পাঁচ সন্তানের একজন হলেন সাইফুল।
এসআই ভুষণ চন্দ্র বলেন, রফিকুলের দুই আপন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। রফিকুল তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। নানা সময়ে সৎ মা ও সৎ ভাই-বোনদের সঙ্গে তার ঝগড়া হত।
আত্মহত্যার খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রফিকুলের শয়ন ঘরে তার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআই ভুষণ চন্দ্র বর্মন বলেন, “সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় নিহত রফিকুল ইসলামের কোমরের নিচ অংশে আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে এবং সেসব দাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ষণ দেখা গেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড।”
রফিকুলের শরীরে আঘাতের দাগ সম্পর্কে থানায় আটক বাবা দবিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রফিকুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। কারও সাথে মারপিট করে আসার পরে সে ঘরে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তাকে হত্যা করিনি।”
রফিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ, বলেন এসআই ভুষণ চন্দ্র বর্মন।