শরীয়তপুর পৌরসভার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তিনাশা নদীতে গত এক সপ্তাহের ভাঙনে অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়িসহ বসতভিটা, ফসলি জমি ও গাছপালা বিলীন হয়েছে।
Published : 23 Jul 2019, 08:04 PM
ভাঙন আতস্কে নদী তীরের মানুষদের নিদ্রাহীন রাত কাটছে।
ভাঙন কবলিত এলাকার পান্না বেগম, জবেদা বেগম, মনি বেগমসহ স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপালং গ্রামে কীর্তিনাশা নদীর ভাঙনে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৫০ জনের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া শত শত গাছপালা ও ১০ একরের মতো ফসলি জমি, একটি পানের বরজসহ মূল্যবান সম্পদ বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন নুতন নুতন এলাকা কীর্তীনাশা নদীর বুকে তলিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙ এলাকায় লোকজনের বাড়িঘর ও গাছপালা সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে ভাংঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আজিজুল কাজি বলেন, শুকনো মৌসুম থেকে নদীর পাড়ে মাসের পর মাসটলার ও ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ড্রেজার দিয়ে এ এলাকা থেকে মাটি কাটার কারণে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে পানির স্রোতে এক সপ্তাহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়িঘর, ফসলি জমি পানের বরজ ও মূল্যবান গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিমু আকতার বলেন, “প্রতিদিন নদী ভাংছে। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা আমাদের দেখতে আসেনি। আমাদের এলাকায় জরুরি বেড়িবাঁধ না দিলে বাপ দাদার ভিটেমাটি ও মাথা গোঁজাই ঠাঁই থাকবে না।”
দ্বীন ইসলাম কাজী বলেন, হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হলে তারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সোমবার রাতেই চেখের সামনে নদীগর্ভে ১০টি বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। এরপর থেকে আশপাশের সবাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারী বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমি নিজের তহবিল থেকে সহায়তা দিয়েছি। স্থানীয় এমপি ইকবাল হোসেন অপু আসলে তাদের সহায়তা করা হবে।”
শরীযতপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব রহমান সেক বলেন, “এ বিষয়টি আমি কিছু জানি না। আমি পালং ইউনিয়নে আছি। শহরে এসে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”