ঢাকায় বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের দুইজন নিহত হয়েছে।
Published : 29 Mar 2019, 01:51 PM
এরা হলেন- জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রিকালিয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক তমাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের বেনু প্রাধানিয়ার ছেলে রেজাউল করিম রাজু।
রাজু ‘আসিফ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে’ ছিলেন; এফআর টাওয়ারের পঞ্চম তলার প্লটটি তিনি ক্রয় করে ব্যবসা করতেন।
এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে রাজু দ্বিতীয়। স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়েকে নিয়ে বনানীতে থাকেন তিনি। বাবা বেনু প্রধানীয়া চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন।
রাজুর চাচা শ্বশুরের ছেলে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী হাজী জসিম উদ্দিন জানান, কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তারা লাজুর লাশ গ্রহণ করেন।
রাজুকে কোথায় দাফন করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
অন্যদিকে আগুনে এফআর টাওয়ারের আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত তমাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
আমদানি-রপ্তানিতে পণ্য পরিবহনের কাজ করা প্রতিষ্ঠান ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক তমালের অফিস ছিল এই এফ আর টাওয়ারেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ভবনে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পর আরও অনেকের সঙ্গে ফারুককে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে তার বন্ধু মিনহাজ উদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তমাল ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০০৬-০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। পাস করেছে ২০১১ সালে। তিনি ই ইউ আর বিডি সলিউশন-এ সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
“আগুনে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।”
তমালের চাচাতে ভাই ফরিদগঞ্জের শ্রিকালিয়া গ্রামের সালাহউদ্দিন জানান, দুই মেয়ের বাবা তমাল পরিবারের সঙ্গে ঢাকার সারুলিয়ায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তমাল দ্বিতীয়। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফারুকসহ ১৯জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় অর্ধশত মানুষ।