বাসচাপায় ছাত্রের মৃত্যু: ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভে সিকৃবির শিক্ষার্থীরা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঘোরি মোহাম্মদ ওয়াসিমকে বাস থেকে ‘ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার’ প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ  কর্মসূচি পালন করেন ওয়াসিমের সহপাঠিরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

পরে পাঁচ দফা দাবিতে দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, উদার পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, বাস চালক ও হেলপারের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেওয়া, অদক্ষ চালকের হাতে সড়কে গাড়ি দেওয়া বন্ধ করা এবং সড়কে শিক্ষার্থী ও সকল মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

শনিবার বিকালে সিলেটের শেরপুরে বাস ভাড়া নিয়ে হেলপারের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঘোরি মোহাম্মদ ওয়াসিমকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথে তার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পর বাসটির চালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

ওয়াসিমের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান কয়েকশ শিক্ষার্থী। এসময় তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন। পরে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন শিক্ষার্থীরা।

দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান,শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাত পৌনে ৯টার দিকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিলাল এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।

“আশা করছি আইন অনুযায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।”

তবে আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।