শনিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়াকের শেরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঘোরি মোহাম্মদ ওয়াসিম (২১) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওয়াসিম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রৌদ্রগ্রামের গোরি মো. আবু জাহেদ মাহমুদের ছেলে।
ওয়াসিমের সহপাঠীদের বরাত দিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, বিকাল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী উদার পরিবহনের একটি বাসে নবীগঞ্জের গোপলালবাজার থেকে ওঠেন ওয়াসিম ও তার কয়েকজন সহপাঠী।
“সিট না পাওয়া ও বাস ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। তারা শেরপুরে বাস থেকে নামতে চাইলে বাসের হেলপার ওয়াসিমকে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।”
গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয় বলে উপাচার্য জানান।
ঘটনাকে পরিকল্পিত হ্ত্যা উল্লেখ করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন উপাচার্য মতিয়ার রহমান।
এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে যান কয়েকশ শিক্ষার্থী। এ সময় তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন।
পরে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাত পৌনে ৯টার দিকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিলাল এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ি ইনচার্জ কামরুল হাসান জানান, ঘটনার পর বাসটিকে সিলেটের বেগমপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে বাস চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে।