তিন জেলায় দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের

জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোরে দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিন জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট সদর, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও যশোরের শার্শা উপজেলায় এ তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন শফিক (২৮), শিমু (৪) ও আব্দুল মালেক (৩৫)।

জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, সদরের হিচমি এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় শিমু নামের এক শিশু মারা গেছে। শিমু হিচমি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের মেয়ে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুমিনুল হক জানান, শিমু তার বোনের সঙ্গে স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল থেকে  বাড়ি ফেরার পথে  হিচমি বাইবাস এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় হিলিগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়।

“স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার  মৃত্যু হয়।”

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, আশাশুনি উপজেলায় একজন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন।

আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, বিকালে চিলেডাঙ্গা মোড়ে এ দুর্ঘটনায় নিহত শফিক কুমিল্লার বুরুড়া উপজেলার শ্লরাপতি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

আহতরা হলেন আশাশুনির বড়দুর্গাপুর গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও একই গ্রামের সিয়ামউদ্দীন গাজীর ছেলে ইউপি সদস্য মিজনিুর রহমান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বিকালে উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেল যোগে শফিক সাতক্ষীরা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। চিলেডাঙ্গা মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মেটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন শফিক।

“স্থানীয়রা তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

অপর মোটসাইকেলে থাকা শহিদুল ও মিজানুরকে উদ্ধার করে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, যশোরের শার্শা উপজেলায় ট্রাক্টর উল্টে চালকের মৃত্যু হয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু বলেন, সন্ধ্যায় কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের বিলপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত আব্দুল মালেক ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি ট্রাক্টর চালক ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টিংকু বলেন, রাড়িপুকুর মাঠে জমি চাষ করে ট্রাক্টর নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মালেক। এ সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়।

তখন মালেক ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান টিংকু।