নিহত নাইম ইসলাম (২০) বগুড়া শহরের বেসরকারি পলিটেকনিক বিআইআইটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। জেলার গাবতলী থানার মহিষাবান ইউনিয়নের মড়িয়া গ্রামের ইন্তেজার রহমান স্বর্ণকারের ছেলে তিনি।
জেলার সারিয়াকান্দি থানার এসআই খায়ের উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলার কাঁচাবাজারের পাশে নাইমের গলাকাটা আগুনে পোড়া লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
নিহত নাইমের মা নাজমা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নাইমের সহপাঠীরা বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে নেন। নাইম তার নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মোটরসাইকেলের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।
নাইমের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এসআই খায়ের বলেন, লাশ থানার আনার পর তার কিছু সহপাঠী থানায় আসেন। থানা চত্বরে উপস্থিত পাঁচ সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন নাইমের বর্তমান সহপাঠী মনির (২০), অন্তর (২০), বাবু (২০) , আতিক (২০) ও আতিক (২৩) ।
সারিয়াকান্দি ও গাতলী সার্কেলের এএসপি তাপস কুমার পাল বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”