উপজেলার ফুলতলা এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের ভাষ্য।
নিহত রবিউলের (৩৫) বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি হত্যা মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার সাইফুল বলছেন, উজিরপুর জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নান্টুকে দুই মাস আগে রবিউলই গুলি করে হত্যা করেন বলে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নান্টু উজিরপুরে স্বর্ণা গার্মেন্টস অ্যান্ড ক্লোথ স্টোর নামে একটি দোকান চালাতেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে দুটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ওই দোকানে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার বলেন, ওই ঘটনার পর তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে নান্টু হত্যার সঙ্গে রবিউলের সম্পৃক্ততার তথ্য দেয়।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে মাদারীপুর থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে নিয়ে ফুলতলা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় বলে সাইফুল ইসলামের ভাষ্য।
তিনি বলেন, “সেখানে যাওয়ার পর ওঁৎ পেতে থাকা রবিউলের অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রবিউলের মুত্যু হয়।”
ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।