পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের সমালোচনা করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।
Published : 03 Sep 2018, 10:23 PM
সোমবার গাইবান্ধায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার পর পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি উদাসীন থাকে। এটি মুক্তিযদ্ধের চেতনাবিরোধী ও দুঃখজনক।”
সকল বৈষম্য মানুষের সৃষ্টি; প্রকৃতি বা সৃষ্টিকর্তা বৈষম্য তৈরি করেনি বলে তিনি মনে করেন।
“আমরা মানুষের তৈরি বৈষম্য দূর করতে চাই। এজন্য সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে যারা রাজনীতি করে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।”
ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় যুব মিলনমেলা উদযাপন কমিটি ও অবলম্বন আয়োজিত এই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সুলতানা কামাল।
সভায় আদিবাসী নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষ্টি, ঐতিহ্য, সামাজিক রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে আদিবাসী নেতারা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকার অভেযাগ করেন।
এছাড়া তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির জন্য কোনো মিলনায়তনও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় সমালোচনা করেন।
তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কৃষ্টি সংরক্ষণে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা বিদ্যমান বলে তারা মনে করেন।
আদিবাসীরা ১৫ দফা দাবি সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী বরাব লেখা স্মারকলিপি সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাশকের কাছে প্রদান করেন।
আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির আহবায়ক প্রিসিলা মুর্মের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে, আদিবাসী নেতা গৌর চন্দ্র পাহাড়ী, আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির সদস্য সচিব মাইকেল মার্ডি, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, সারা মার্ডি প্রমুখ।