জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, তার স্ত্রী সুখী বেগমকে (২৪) রোববার ভোরে জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ে ‘জামালপুর পপুলার হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডে’ ভর্তি করা হয়।
“ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা নেওয়া হয়। এর পরও সময় ক্ষেপণ করায় আমি আমার স্ত্রীকে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিতে চাই। এর তিন ঘণ্টা পর জামালপুর সদর হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন শফিকুল ইসলাম এসে সিজার করেন। সময় ক্ষেপণ করায় নবজাতকের মৃত্যু হয়।”
এ বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, “তিন দিন আগে প্রসববেদনা শুরু হওয়া সুখী বেগমকে রোববার সকালে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল।
“আমি সিজার করে দেখি নবজাতক ও তার মায়ের অবস্থা খারাপ। তাই তাদের জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে নবজাতক মারা যায়। এ ঘটনায় আমার কোনো গাফিলতি ছিল না। কোনো চিকিৎসক চান না রোগী মারা যাক।”