কয়লা সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Published : 22 Jul 2018, 11:01 PM
রোববার রাত ১০টায় কর্তৃপক্ষ ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সংরক্ষণ প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান।
মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লি.’ (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি) কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় তারা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই তাপ বিদুৎকেন্দ্রটি বন্ধের পর এখন বিকল্প ব্যবস্থা না হলে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিদুৎ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি. (নেসকো)-এর রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগওয়াট বিদুৎ প্রয়োজন। এর মধ্যে ৫২৫ মেগওয়াট বিদুৎ আসত বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎকেন্দ্র থেকে।
“কিন্তু গত বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎকেন্দ্রের দুইটি ইউনিট বন্ধ থাকায় গত এক মাস ধরে দেড়শ মেগওয়াট বিদুৎ আসত। এই কারণে বিদ্যুতের কিছু ঘাটতি ছিল। এখন বিদুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় এই ঘাটতি আরও বাড়ল।”
এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকাসহ লোড শেডিংয়েরও আশঙ্কা করা হচ্ছে, বলেন প্রকৌশলী শাহাদৎ।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান গত ৭ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২০১০ নম্বর ফেজে মধ্য জুনে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় ১৩১৪ নম্বর নতুন ফেজে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আগামী অগাস্ট মাসের শেষ পর্যায়ে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ার কথা তিনি জানিয়েছিলেন।
নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র চালু সম্ভব হবে না বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।