নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা ওরফে এরশাদকে তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 20 Jul 2018, 10:40 AM
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাসুদ রানা এরশাদ (৩৪) গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে। এর আগে ২০১৫ সালে কালিয়াকৈর থানার একটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরের বছর তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি নেন।
তার সঙ্গে গ্রেপ্তার মনিষা ভাদুড়ী মেরী গাজীপুর শহরের দক্ষিণ ছায়া বীথি এলাকার জুয়েল ভাদুড়ীর মেয়ে। সংগীত শিল্পী মেরী ২০১৪ সালে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতায় চতুর্থ হয়েছিলেন।
মেরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মাসুদ রানা তার স্ত্রী নাজমুন নাহার রুনিকে (২৭) নানাভাবে ‘নির্যাতন’ করেন এবং ‘যৌতুকের দাবিতে মারধর’ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুনির দায়ের করা ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে মাসুদ রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে সময় যৌতুক হিসাবে ৩০ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি দেওয়া হয় মাসুদ রানাকে। তাদের একটি মেয়েও হয়েছে।
রুনির অভিযোগ, মাসুদ রানা ও মেরীর ‘পরকীয়ার সম্পর্ক’ তিনি জেনে ফেলার পর নানাভাবে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
“গত ৮ জুলাই মাসুদ রানা আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিতে অস্বীকার করলে সে এলোপাতাড়ি পেটায়। এরপর গত ১১ জুলাই আবারও বেদম মারধর করে।”
এই পরিস্থিতিতে বাবার বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রুনি। ওই মামলায় মেরী এবং তার পরিবারের সদস্যদেরও আসামি করা হয়।
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন বলেন, মাসুদ রানা ও মেরী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় বসবাস করছিলেন।
“তাদের বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দিতে পারেননি। রুনির করা মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের গাজীপুরের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”