রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এসএসসির ফল ঘোষণা করেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম।
দুপুর ২টায় ফলাফল প্রকাশ করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এবছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এছাড়া ২০১৬ সালে ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৬২ জন শিক্ষার্থী, গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৭৪ জন বেশি।
পাসের হার কমার কারণ হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “সৃজনশীলের প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার ফলাফলে। তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষকই সৃজনশীল বোঝেন না। ফলে শিক্ষার্থীদেরও বোঝাতে পারেন না।”
এবছর মোট এক লাখ ৩ হাজার ১২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, এর মধ্যে থেকে পাস করেছে ৭৯ হাজার ৫২০ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৩৯ হাজার ৫১ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৬৯ জন।
পাসের দিক থেকে এবছরও ছাত্রীরা এগিয়ে।
ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী এক হাজার ৮০১ জন এবং ছাত্র এক হাজার ৬৬১ জন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এবছর ৩টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠান তিনটি হল- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ইসলামপুর সেকেন্ডারি স্কুল, ভেরন বাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পটুয়াখালীর উত্তর মৌকরণ এএইচ সেকেন্ডারি বিদ্যালয়।