বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 25 Apr 2018, 08:23 PM
বুধবার ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলী জানান।
এরা হলেন বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে ছায়েদ আলী (৪৫) ও একই গ্রামের তৈয়ব খানের ছেলে এমরান মিয়া (৩৫)।
ওই তরুণীকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানান, বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে তার স্বামী মারা যাওয়ায় গার্মেন্টে কাজ নেন। এক অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের লিপি আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
“এক পর্যায়ে আলমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার দুপুরে আলম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তাকে বিয়ের কথা বললে জানায় রাতে বিয়ে হবে।”
তিনি বলেন, “সোমবার রাতে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে আলমসহ কয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।”
মঙ্গলবার তাকে রাস্তায় ফেলে গেলে স্থানীরা তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে জানান এ তরুণী।
সদর হাসপাতালের আরএমও মোজাম্মেল হক বলেন, মেয়েটির শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পরই ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওসি বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী তিন জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলা করেন। বুধবার দুপুরে মামলাটি রেকর্ড হয়।
“পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।”