গত দুই দিনের শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Published : 08 Apr 2018, 11:29 PM
শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। এছাড়া বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া।
এতে জেলার নয়টি উপজেলায় পেঁয়াজ, ভুট্টা ও কলা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজ, ভুট্টা এবং কলা বাগানের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার অম্বিকারপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ বীজ চাষি হাফিজার মাতুব্বর বলেন, আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তারা পেঁয়াজ বীজ ঘরে তুলতে পারতেন; কিন্তু হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষেতে অনেক পেঁয়াজ বীজ কাদা মাটিতে নষ্ট হয়েছে।
অম্বিকারপুরের পেঁয়াজ বীজ চাষি মো. আকবর খান বলেন, ফরিদপুর কৃষি বিভাগের চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ছিল এক হাজার ১২৭ মেট্রিক টন। কিন্তু শিলাবৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার কারণে জেলার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ বীজ ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
মণ প্রতি এ বীজ বিক্রয় মূল্য ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।
অনেক চাষি ব্যাংক কিংবা এনজিওদের কাছ থেকে অধিক সুদে ঋণ নিয়ে বীজের চাষ করেছেন।
অম্বিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারী জানান, এই ইউনিয়নের মানুষ কৃষি নির্ভর; তাই এই ঝড়ো বৃষ্টিতে ভুট্টা, পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজ চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কান্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষে ফরিদপুর দেশের সেরা অবস্থানে রয়েছে; এই ঝড়ো বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের ক্ষেতের ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
“তবে বোরো ধান এবং পাট চাষিদের এই বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে; এছাড়াও আম, লিচু চাষিরা লাভবান হবে।”