যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী রংপুরের পিপি রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
Published : 31 Mar 2018, 02:03 PM
সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলাও পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা বলেন, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রথিশ আর ফিরে আসেননি জানিয়ে তার ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক সুবল জিডি করেছেন।
রথিশ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি।
এছাড়া তিনি জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুর ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষী। আদালতে আজহারুলের ফাঁসির রায় হওয়ার পর আপিল শুনানি চলছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রথিশ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তার পরিবার শুক্রবার রাত ১১টায় আমাদের জানান।
“এরপর থেকে আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) কাজ করছে।”
রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক অভিযোগ করেছেন, জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও খাদেম রহমত আলী হত্যার রায়ের পর থেকে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
“রথিশ শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পাজামা-পাঞ্জারি পরে এক ব্যক্তির সঙ্গে লাল রঙের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে আর ফেরেননি। তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ।”
রথিশ যার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি থেকে বের হন তাকে চেনেন না বলে জানান দীপা ভৌমিক।
রথিশের ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত বলেন, “আমি জরুরি কাজে ঢাকায় ছিলাম। সেখান থেকে ভাইয়ের নিখোঁজের খবর পেয়ে শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে জিডি করেছি।”
সব আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী রথিশকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। আমরাও দলীয়ভাবে তার সন্ধানের চেষ্টা করছি।”
রথিশ তাজহাট উচ্চবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কটির সভাপতি। বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শনিবার সকালে রথিশের সন্ধান দাবিতে তাজহাট চারমাথায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।