নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাস ও লরির সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের চারজন একই পরিবারের।
Published : 26 Feb 2018, 11:29 PM
তারা হলেন - কাতার প্রবাসী মো. ইলিয়াস গাজী, তার বড় ভাই মো. মফিজ (৫০), বোন মিনোয়ারা বেগম (৩২) ও ছেলে ইনান (৮)।
এছাড়া ইলিয়াসের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর (২৮) ও ভাতিজা রাজু (১৯) আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনার দেড়রায়।
ইলিয়াসের স্ত্রী জেসমিন বেগম সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ইলিয়াস, মফিজ ও মিনোয়ারার লাশ শনাক্ত করেন।
আর ছেলে ইনানের লাশ শনাক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ গিয়ে।
জেসমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইলিয়াস কাতার থাকেন। চার মাস আগে বাড়ি এসেছিলেন বেড়াতে।
“আবার কাতার যাওয়ার জন্য রোববার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু ফ্লাইট মিস করে রাতে কাঁচপুরে এক স্বজনের বাড়িতে থাকেন। সোমবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘনায় পড়েন তারা,” কাঁদতে কাঁদতে বলেন জেসমিন বেগম।
সোমবার বেলা সোয়া ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবর্দী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১০ জন মারা যান। আর আহত হন আরও অন্তত ২০ জন।
হতাহতরা সবাই বাসের যাত্রী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক একেএম নাসির উদ্দিন ও মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, দুর্ঘটনার পর এখানে আহত ২০ জনকে এখানে আনা হলে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
নাসির উদ্দিন বলেন, এখান থেকে আহত দুইজনকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তাদের স্বজনরা। আর এখানে চিকিৎসাধীন অন্যদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
অন্যদের নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চার নারী, চার পুরুষ, এক শিশু ও এক কিশোর। তাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন - ইয়াসিন (৩৮), হেনা আক্তার পপি (১৮), পপির ভাসুরের ছেলে রহিম (৬) ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গোপাল সাহার ছেলে শুভ সাহা (১৬ )।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, সিডিএম পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সামনের একটি লরিকে ধাক্কা দিলে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আধা ঘণ্টা পরে পুলিশ গিয়ে রেকার দিয়ে বাসটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।