চাষাঢ়ায় সংঘর্ষ: সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ

চাষাঢ়ায় শামীম-সমর্থক ও আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে জেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2018, 06:29 PM
Updated : 16 Jan 2018, 06:29 PM

প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মজিবুল হক পলাশ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাতে এই অভিযোগ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন।

“তখন সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিক, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করসপনডেন্ট ও বাংলাট্রিবিউনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আমির হুসাইন স্মিথ, ইনডিপেনডেন্টের জেলা প্রতিনিধি মজিবুল হক পলাশ, আরটিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলামসহ ১০-১২ জন সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তবে বিজ্ঞপ্তিতে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি এই হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

তারা অভিযোগ করেছেন, এ সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলাম। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল না। দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হয়ত সাংবাদিকরা মার খেয়েছেন।”

ফুটপাতে হকার বসানো নিয়ে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকা।

সংঘর্ষের সময় বিকালে প্রতিপক্ষের ঢিলের মুখে পড়েন আইভী। তবে তার সমর্থকবরা ঢাল বানিয়ে তাকে রক্ষা করে।

সংঘর্ষে দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়, যার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা রয়েছে।

পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে দুই পক্ষকে হটিয়ে দিলেও এখনও শহরে উত্তেজনা চলছে।

হামলার জন্য সরাসরি শামীম ওসমানকে দায়ী করেন মেয়র আইভী। অন্যদিকে শামীম ওসমানের দাবি, হকারদের বসাকে কেন্দ্র করে উসকানি দিয়ে গণ্ডগোল বাঁধানো হয়েছে।