কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার এক মাসের মধ্যে রাঙামাটিতে এবার এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করা হয়েছে।
Published : 03 Jan 2018, 04:09 PM
বুধবার ভোরে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ক্যাং কুঠিরে (বিহারে) এ ঘটনা ঘটে বলে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল জানান।
গুলিবিদ্ধ বিশ্বরায় তঞ্চঙ্গ্যাকে (৩৫) রাঙামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, বুধবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি গুলি লেগেছে।
বিশ্বরায় বলেন, “ক্যাংয়ে (বিহারে) ঘুমাচ্ছিলাম। এসময় জেএসএসের কয়েকজন সশস্ত্র ক্যাডার এসে আমাকে গুলি করে।
“তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।”
নুর মোহাম্মদ কাজল এই ঘটনার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে বলেন, “পাহাড়িরা যাতে জাতীয় রাজনীতি করতে না পারে, সেজন্য পার্বত্য এ গোষ্ঠী অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।”
এ বিষয়ে রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, “এলাকাটি খবুই দুর্গম, হেঁটে যেতে হয়। ঘটনা ঘটার পর আমাদের লোক রওনা দিয়েছে তবে তারা পৌঁছেছে কিনা তা জানা যায়নি।”
তারা পৌঁছানোর পরই ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ৫ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই দিনে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মার্মার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম এবং পরদির জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়।
সবগুলো ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে আসছে জেলা আওয়ামী লীগ।