প্রথম মেয়াদে উন্নয়ন করায় মানুষ নৌকায় আস্থা রাখবে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর। আর রংপুরে এরশাদের ‘ইমেজে’ তরী পার হতে চান জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
Published : 19 Dec 2017, 07:15 PM
মঙ্গলবার রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে এমন প্রত্যাশার কথাই জানালেন দুই মেয়র প্রার্থী।
আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এবার আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও বিএনপির কাওসার জামান বাবলাসহ মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে শেষ দিনের প্রচার শুরু করেন নৌকার প্রার্থী ঝন্টু। সেখানে আগে থেকে জড়ো হওয়া ভোটারদের সামনে হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য ও প্রচারপত্র বিতরণ করে গণসংযোগ শেষ করেন তিনি।
পরে নগরীর শাপলা চত্বর ও চব্বিশ হাজারী এলাকায় গণসংযোগে করেন ঝন্টু।
গণসংযোগকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর ও সুষ্ঠু আছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
“গত পাঁচ বছরে নগরীতে যত উন্নয়ন হয়েছে এবং চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে নগরীতে কোনো সড়ক ভাঙাচোরা থাকবে না। ইতোমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। আমার বিশ্বাস মানুষ নৌকায় আস্থা রাখবে।”
এ সময় মোস্তফা বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যা পদক্ষেপ নিচ্ছে তা ঠিক আছে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে।”
এরশাদের ‘ইমেজেই’ ভরসা দাবি করে তিনি বলেন, “লাঙ্গল মানেই এরশাদ, আর এরশাদ মানেই লাঙ্গল। সিটি এলাকা এরশাদের ঘাঁটি। লাঙ্গলের পক্ষে ভোটের বিপ্লব ঘটবে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, রংপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।
এছাড়াও আনুষ্ঠানিক প্রচারের শেষদিনে ভোটারদের বাড়ি ঘুরে বেড়ান অন্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নিজ নিজ প্রতীকে সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি দিয়েছেন শেষ সময়ের নানা প্রতিশ্রুতি।
জাতীয় পার্টির পার্থী ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রংপুরে অবস্থান করা দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রংপুরে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, “উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন আছে। ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রাখার কাজ আমরা করে যাব।”