শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘রাকসু আন্দোলন মঞ্চের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
রাকসু নির্বাচনের দাবিতে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের কর্মী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৩ সালে প্রথম রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৬-৫৭ মেয়াদে। আইয়ুব খানের শাসনামলে এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
“এখন পর্যন্ত ১৪ বার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে। এরপর এই দীর্ঘ সময়ে আর কোনো নির্বাচন হয়নি।”
গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষার্থী সজীব কুমার সরকার বলেন, “গত ২৭ বছর ধরে রাকসু অচল হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের কথা বলার কোনো প্রতিনিধি নেই; অথচ এটা আমাদের অধিকার। নিজেদের অধিকার আদায়ে আমরা নিজেরাই নেমেছি।”
আগামী সোমবার পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ওইদিন গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে মাননীয় উপাচার্যের কাছে যাব। এরপর রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকলের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা কামনা করেন সজীব।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের কর্মী গণিত বিভাগের মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. শরীফ, আরবী সাহিত্য বিভাগের জোবায়ের হোসেন জোহা, নাট্যকলা বিভাগের মোরশেদ শাহরিয়ার, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আব্দুল মজিদ অন্তর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরাফাত রহমান, রিজভি আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খুর্শিদ রাজীবসহ বিভিন্ন বিভাগের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।