জেএসসি পরীক্ষায় পুরাতন প্রশ্নপত্র বিতরণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে একটি জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র বিতরণের একঘণ্টা পর নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2017, 10:01 AM
Updated : 2 Nov 2017, 10:01 AM

নগরীর আমলপাড়ার নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে বুধবার এ ঘটনা ঘটে বলে ওই পরীক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকরা অভিযোগ করেন।   

পরীক্ষা শুরুর একঘণ্টা পর নতুন প্রশ্নপত্র দেওয়া হলেও পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।         

ঘটনার শিকার কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানায়, বার একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় ও চিত্তরঞ্জন কটনমিল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল নারায়ণগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বুধবার তাদের জেএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাদেরকে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।

প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর তারা (২০৮ ও ২০৯ নম্বর কক্ষের মোট ১২ জন শিক্ষার্থী) দেখতে পান, তাদেরকে ২০১৬ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মো. আরিফকে জানান।

কিন্তু পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে তিনি উল্টো তাদেরকে হল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

তারা আরও বলেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় পর পরীক্ষার্থীরা কান্নাকাটি ও হৈ চৈ শুরু করলে প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে গিয়ে নতুন বছরের প্রশ্নপত্র দেন। এ সময় পরীক্ষার্থীরা সময় নষ্ট হওয়ায় বাড়তি সময় দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তাদেরকে দেওয়া হয়নি। উল্টো তাদেরকে পরীক্ষা বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।

পরীক্ষার্থী  ফারজানা, মারজিয়া জাহান, মনিরা আক্তার, জোবেদা রহমান, আফসানা খানম, সাগরিকা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস ও সোনিয়া আক্তার জানান, তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি ভালো ছিল; কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় পর নতুন প্রশ্নপ্রত্র দেওয়ায় তারা সব প্রশ্নে উত্তর দিতে পারেননি।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা সংবাদকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে গেলে স্কুলের শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান।

অভিভাবক ফেরদৌস আরা ও রেজাউল করিম বলছেন, ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন; কিন্তু পরে তিনিসহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা তড়িঘড়ি চলে পালিয়ে যান।

ভুল প্রশ্নপত্র প্রদানের কারণে তাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় লিখতে সময় পায়নি। তাদের এখন পরীক্ষায় ফলাফলের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে কিংবা অন্য কোনো শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল বারী বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রেখে অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।