পাটুরিয়ায় ১০ ঘণ্টা পর ফেরি চালু, দুর্ভোগ চরমে

বৈরী আবওহাওয়ার কারণে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2017, 12:02 PM
Updated : 21 Oct 2017, 12:02 PM

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিভিন্ন যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী ও শ্রমিকদের।

শুক্রবার রাত ২টার দিকে এই নৌপথে ফেরিসহ সকল নৌযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার বেলা ১২টার পর আবার চালু হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে গত দুইদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাশাপাশি দমকা হওয়া ও ঝড়ো বাতাস বইছে।

“এ কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নদীতে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার রাত ২টার দিকে ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।”

এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীদের বহনকারী যানবাহন ও মালবাহী ট্রাকগুলো পাটুরিয়া ঘাটে এসে আটকা পড়তে থাকে বলে তিনি জানান।

“শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঝড়ো বাতাস কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।”

দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজটের কবলে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর থেকে শনিবার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন।

সকাল ১০টায় তিনি সৌখিন পরিবহনের একটি বাসে পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে আড়পাড়ায় পৌঁছেন।

তিনি বলেন, বেলা ১২টায়ও তাদের বাসটি ফেরির নাগাল পায়নি। এই দীর্ঘ সময় তার মতো আরও হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হন।

বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব যানবাহনের সারি পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর মধ্যে দুই শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।

প্রায় একই সংখ্যক যানবাহন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়াতেও আটকা পড়েছে বলে তিনি জানান।

জিল্লুর জানান, বর্তমানে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে নদীতে ঢেউ ও স্রোতের কারণে ফেরিগুলো ধীরগতিতে চলছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।