কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পর পর দুই দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে। 

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2017, 05:19 PM
Updated : 24 August 2017, 05:19 PM

জেলার সঙ্গে নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার সড়ক যোগাযোগ দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে।

রাজারহাট উপজেলার বোয়ালমারী বড়পুল এলাকায় রেল সেতুর গার্ডার ডেবে গিয়ে কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান বলেন, “এই উপজেলায় দুইটি রাস্তার ৯টি স্থানে ১৮০ মিটার ওয়াশ আউট হয়ে গেছে। এ রাস্তাগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য।

“কোথাও বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়ে লোক চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি নেমে গেলে স্থায়ী মেরামত করা হবে।”

এদিকে,  ভুরুঙ্গমারী উপজেলার সঙ্গে ৬টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বন্যায় এলজিইডির ৩৫ দশমিক ১৭ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার স্রোতে এলজিইডির বলদিয়া থেকে চায়না বাজারগামী রাস্তায় একটি সেতু, সুগলপার থেকে রাঙ্গালের কুটি রাস্তায় একটি সেতু, সোনাহাট চরভুরুঙ্গামারী রাস্তায় একটি গার্ডার ব্রিজ এবং পাথরডুবিতে একটি সেতু ভেঙ্গে গেছে। তালতলায় একটি সেতুসহ তিনটি সেতু ভেঙ্গে গেছে।

ভুরুঙ্গামারী থেকে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী রাস্তার পাঁচটি স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গভীর খাদের সৃষ্টি হওয়ায় দুধকুমার নদের পূর্ব তীরের চরভুরুঙ্গামারী, সোনাহাট, বলদিয়া, বল্লভেরখাস, কচাকাটা ও কেদার ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ সভাপতি সরকার রকীব আহমেদ বলেন, স্থলবন্দরগামী রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় মাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।

ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, কুড়িগ্রাম- নাগেশ্বরী সড়কের পাটেশ্বরী ও উত্তর কুমরপুর এলাকায় চারটি স্থানে রাস্তায় গভীর গর্ত হওয়ায় ১২ অগাস্ট থেকে সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তিনটি উপজেলার সঙ্গে।

সরাসরি কোচ সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর তালিকা ও এস্টিমেট তৈরির কাজ চলছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে।

জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, কিছু কিছু রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টির ফলে এগুলোয় ব্রিজ অথবা গর্ত পূরণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পর্যবেক্ষণ করতে কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন। শীঘ্রই তাদের মতামতের ভিত্তিতে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।