ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আট পুলিশ।
Published : 23 Apr 2017, 08:54 PM
সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিন রোববার দুপুরে ফেনী মডেল থানার তৎকালীণ আট উপ পরিদর্শক সাক্ষ্য দেন বলে জানান পিপি হাফেজ আহম্মেদ।
এরা হলেন এসআই খোকন চন্দ্র দাস, এসআই কামরুল ইসলাম খাঁন, এসআই সুনিল চন্দ্র দাস, এসআই বেলাল উদ্দিন, এসআই সাজ্জাদ কামাল, এসআই আবদুল মোতালেব, এসআই শাখাওয়াত হোসেন ও এসআই গোলাম আজম।
গ্রেপ্তার আসামিদেরর উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হকের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৩০ এপ্রিল পরবর্তী দিন রেখেছে বলে জানান পিপি।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাবন্দি আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নিদর্শে দেন।
একরাম হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত আদালত মামলার বাদী তার বড় ভাই রেজাউল হক জসিম, ছোট ভাই এহসানুল হক, স্ত্রী তাসমিন আক্তার, গাড়ি চালক আবদল্লাহ আল মামুনসহ ৪২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। অভিযোগপত্রে পুলিশ ৫৯ জনকে সাক্ষী করে।
পিপি বলেন, এর আগে দুপুরে কারাকর্তৃপক্ষ একরাম হত্যা মামলায় কারাবন্দি ২৫ আসামির মধ্যে ২৪ জনকে আদালতে হাজির করে। আরেক আসামি জাহিদ চৌধুরী জিহাদ সম্প্রতি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়ে কুমিল্লা কারাগারে বন্দি থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
“এছাড়া জামিনে মুক্ত ২০ আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় এখনও ১১ আসামি পলাতক রয়েছেন।”
গত ১৯ মার্চ একরাম হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীর জামিন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ছয়মাসের মধ্যে মামলার বিচারকাজ শেষ করারও জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।