সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় মেয়রের ভাই হাবিবুল হক মিন্টুর হাতেও শটগান দেখা গেছে।
Published : 07 Feb 2017, 04:59 PM
গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ চলাকালে সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল আহত হন। পরদিন তিনি মারা যান।
মেয়র মিরু সংঘর্ষের সময় গুলি করেছিলেন বলে স্বীকার করেছিলেন। ওই সংঘর্ষের সময়ের একটি ভিডিও এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রচার করে।
পরে আরেকটি ভিডিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে আসে। ওই ভিডিওতে মেয়র মিরু ও তার ভাই মিন্টুর হাতে শটগান দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে মেয়রের বাড়ির সামনে এলে দুপক্ষের মাঝখানে থেকে পুলিশ তাদের হটানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিজয়ের সমর্থকরা পিছু হটে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মেয়রের সমর্থক বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
ধাওয়াকারীদের পিছনের সাদা ফুল শার্ট ও নেভি ব্লু রংয়ের প্যান্ট পড়ে শটগান হাতে গুলি করতে করতে প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে যান মিন্টু।
এরপর মিন্টুকে ডাকতে ডাকতে বাম হাতে শটগান নিয়ে পিছন পিছন ছুটে যান মেয়র মিরু।
এরপর একই রাস্তার বিপরীত দিকে থাকা প্রতিপক্ষ লোকজনকে ধাওয়া করার জন্য বেশ কয়েকজন এগিয়ে যায়। তাদের মাঝে মেয়রকেও বাম হাতে শটগান নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ ঘটনার পরদিন মিন্টুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলৌ তার ব্যবহৃত শটগানটি উদ্ধার হয়নি। তবে মেয়রের ব্যবহৃত শটগান ও বেশ কিছু গুলি জব্দ করেছে পুলিশ।
এ মামলার প্রধান আসামি মেয়র হালিমুল হক মিরুকে রোববার রাতে পুলিশ ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মিরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসিবুল হকের আদালতে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পাশাপাশি সেগুলো উদ্ধারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে। তবে, এখনও মেয়রের শটগান ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।