রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধায় আয়া ও মালি নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারেনি।
Published : 21 Dec 2016, 07:01 PM
বুধবার শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধীন এ কলেজে ঘটনাটি ঘটে বলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. আনসার উদ্দীন জানান।
অধ্যাপক আনসার উদ্দীন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন আয়া ও আরেকজন মালি নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা ছিল আজ।
“যথারীতি পরীক্ষা আমরা নেওয়াও শুরু করি, কিন্তু সকালে আওয়ামী লীগের ২০/২৫ লোক এসে পরীক্ষা নিতে বাধা দেন।
“পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ না করলে অন্যরকম পরিস্থিতির তৈরি হতো, তাই অমি বন্ধ করে দিয়েছি।”
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া আগে যেটা ছিল, সেখানে বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন বসয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩০ বছর।
“আমরা অনেক দিন থেকে বলছিলাম বয়সের এই নিয়মটা যেন তুলে নেওয়া হয়; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা না শুনে একের পর এক নিয়োগ দিয়েই যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, সকালে মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। গিয়ে তারা বয়সের বাধা তুলে দিয়ে আগের নিয়মে নিয়োগের দাবি জানান।
ডাবলু সরকার আরও বলেন, এই নিয়োগ পরীক্ষায় আয়ার যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে এসএসসি পাশ। আয়া পানি, চা আনা-নেওয়া করবে; তার এত যোগ্যতা লাগবে কেন? আবার কম্পিউটার চালানোর যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে।
“এ যোগ্যতা চাইলে তো আমাদের সংগঠনের কেউ চাকরি পাবে না।”
যাই হোক তারা এ দাবি তুলে দেওয়ার দাবি জানান। তাদের এ দাবির মুখে আজকের সকালে যে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল তা কর্তৃপক্ষ বন্ধ করতে বাধ্য হয়, বলেন ডাবলু সরকার।
পরে তিনি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, “ইনস্টিটিউট তো নিজস্ব প্রক্রিয়াতে নিয়োগের বিষয়টি দেখে। সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া উপাচার্যও এখন ক্যাম্পাসে নেই। এখন আইইআর যদি লিখিতভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়ে থাকে তখন আমি বিষয়টি দেখতে পারব এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারব।”
এখনও তারা লিখিতভাবে জানিয়ে কি না তা তিনি নিশ্চিত নন। জানালে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।