পাবনায় ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ তাদের মিষ্টি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
Published : 10 Nov 2016, 12:58 PM
এমন ভেরিফিকেশনে অভিভূত জেলার ৩৭ চাকরি প্রার্থী ও স্বজনরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তাদের অনুভূতির কথা।
শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ পাওয়া রঘুনাথপুর গ্রামের মুহাম্মদ বিন এয়াহিয়া বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন মানেই উত্তম আপ্যায়নসহ নগদ দেওয়াকেই বুঝতাম এতদিন।
“আমিও সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খাবার-দাবারের ব্যবস্থাসহ অনেক কষ্টে হাজার কয়েক টাকাও যোগাড় করে রেখেছিলাম পুলিশের জন্য। কিন্তু হঠাৎ এক এসআই আসলেন ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে। আমরা তো পুরাই অবাক। চেষ্টা করেও তাকে কিছু খাওয়াতে পারি নাই।”
“এএসপি শুরুতেই জিজ্ঞেস করলেন ফুলের তোড়া পেয়েছি কিনা। টাকা দিয়েছি কিনা। কেউ টাকা চেয়েছে কিনা। উনি ব্যস্ত থাকায় এসআইকে পাঠিয়েছেন বলে দুঃখ প্রকাশও করলেন। এরপর তিনি আমাকে দেশের সেবা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।”
চাকরি প্রার্থী এয়াহিয়া ‘অনেক পুরস্কার ও সংবর্ধনা পেলেও, পুলিশের কাছে পাওয়া এই সম্মান একেবারেই অন্যরকম’ বলে জানান।
অন্যরাও একই রকম অনুভূতি প্রকাশ করেন।
আটঘরিয়া উপজেলার চান্দাই গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সীর ছেলে চাকরি প্রার্থী কেরামত আলী।
সদর সার্কেলের এএসপি শেখ সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফৈার ডটকমকে বলেন, “পুলিশ সম্পর্কে জনমনে দীর্ঘদিন ধরে যে ধারণা রয়েছে তা বদলে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই আমার পুলিশ বিভাগে চাকরিতে আসা।
“এই ৩৭ ক্যাডার যদি মন-প্রাণ দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করেন তাহলে দেশ একদিন অবশ্যই ৩৭ জন দক্ষতাসম্পন্ন ভালো মানুষ পাবে।”
কর্মজীবনে প্রবেশের মুখে ফুলেল শুভেচ্ছা সবার মনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।