রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় তার এক সহকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Published : 05 Nov 2016, 04:44 PM
শনিবার বিকালে আতিকুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আল আমীন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর তালাইমারী এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
“আকতার জাহানের ফোন কল ও এসএমএস লিস্ট উদ্ধারের পর সেগুলো যাচাই বাছাই করে এবং আতিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে ‘আত্মহত্যার’ পেছনে তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি।”
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে আকতার জাহানের লাশ পাওয়া যায়। পরে ওই ঘরের টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে ‘আত্মহত্যার’ কথা জানিয়ে ‘কেউ দায়ী নয়’ বলা হলেও নিজের সন্তানের গলায় ‘ছুরি ধরার’ অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৭ সালে শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন আকতার জাহান। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই বিয়ে করেন তানভীর আহমেদকে।
তানভীরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১২ সালে জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন আকতার জাহান। এরমধ্যে গত বছরের শেষ দিকে তানভীর আবার বিয়ে করেন।