নাটোরের লালপুরে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে সাত জনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন সেনা সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 05 Sep 2016, 09:44 PM
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে তারা লালপুরের তিলকপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতি করে। সোমবার ভোরে পাবনা সদরের অনন্তপুর এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
ওই সময় তাদের কাছে থাকা অপহৃত দুই ব্যক্তি, দুটি খেলনা পিস্তল ও লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটকদের একজন হলেন- চট্টগ্রাম আর্টিলারি রেজিমেন্টে কর্মরত সৈনিক ইসমাইল হোসেন (৩৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের চুনাখালি গ্রামের হুমায়ন কবীরের ছেলে। দেড় মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা তার।
তিনি পাবনা র্যাবে কর্মরত ছিলেন। মাত্র সাত মাস আগে সেখান থেকে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
অপর ছয় জন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের জি এম বাবু (২০), পাবনার ঈশ্বরদীর মাঝদিয়াড়ের সাকিব আলী (২০), সুজন আলী (২০), মাহবুব হোসেন (৩০), পাবনা সদরের সিরাজুল ইসলাম (৩০) ও মাইক্রোবাস চালক নাটোরের লালপুরের সাদিপুরের মখলেছুর রহমান (৩০)।
এছাড়া, উদ্ধার হওয়া দুই অপহৃত হলেন- চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার এরফান আলী (৩০) ও এস এম সাহেব শরীফ।
লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, রোববার রাত ৯টার দিকে মাইক্রোবাসযোগে ৬/৭ জন লোক নিজেদেরকে র্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে লালপুরের তিলকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢোকে।
“ওই বাড়ি থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে।”
ওসি বলেন, ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে লালপুর থানায় জানানো হলে পুলিশ রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বাড়ি পৌঁছার আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি আশপাশের থানায় জানানো হয়।
“এক পর্যায়ে সোমবার ভোর ৩টার দিকে পাবনা সদরের অনন্তপুর চেকপোস্ট এলাকা থেকে চালক ও আট আরোহীসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন ডাকাত ও বাকি দুইজন তাদের হাতে অপহৃত।”
ওসি বলেন, এ দুজন ব্যবসার কাজে যশোর থেকে বগুড়া যাচ্ছিলেন। পথে দাশুড়িয়ার মোড়ে নেমে একটি হোটেলে খাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে তারা নিয়ে যাচ্ছিল।
ওসি আবু ওবায়েদ জানান, আটক সৈনিক ইসমাইল পাবনায় র্যাবে কর্মরত থাকাকালে অপর ডাকাতদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।
এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।