শিকল ছিঁড়ে পালানোর পর ভারতীয় বুনো হাতি ‘বঙ্গবাহাদুরকে’ আবার অচেতন করা হয়েছে। এবার তার চারপায়ে শিকল পরানো হয়।
Published : 14 Aug 2016, 02:12 PM
রোববার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে তাকে অচেতন করা হয় বলে উদ্ধারকারী দলের প্রধান তপন কুমার দে জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার সকালে হাতিটি সামনের পায়ে বাঁধা রশি ছিঁড়ে ফেলে। তখনও পেছনের এক পায়ে শিকল বাঁধা ছিল।
“রোববার সকাল ৮টার দিকে শিকলটি ছিঁড়ে হাতিটি পালিয়ে যায়। পরে বনবিভাগের কর্মীরা গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে ট্রাঙ্কুলাইজার বন্দুক দিয়ে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচেতন করেন। এরপর তার চারপায়ে শিকল বাঁধা হয়।”
আগেরবার উচ্চমাত্রার অচেতনকারী ওষুধের একটি ডার্ট ছোড়া হলেও এবার ছোড়া হয় স্বল্পমাত্রার ওষুধের চারটি ডার্ট, বলেন তপন কুমার।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন ভারতের আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে বুনো হাতিটি। এরপর দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নদী ও স্থলপথ মিলিয়ে চার জেলার কয়েকশ কিলোমিটার পাড়ি দেয়।
গত ৩ অগাস্ট ভারতীয় একটি দল জামালপুরে এসে হাতিটি উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ভারতে ফিরে যায়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচেতন করা হয়। এরপর কয়েকশ মানুষ প্রায় পাঁচ টন ওজনের পুরুষ হাতিটিকে জলাশয় থেকে লোকালয়ে টেনে তোলে।