সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে দুই ‘মাদক বিক্রেতা’ আহত হয়েছে।
Published : 12 Jul 2016, 09:27 AM
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম ও দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সদর উপজেলার পলাশপোল মধুমোল্লার ডাঙ্গি গ্রামের নারায়ণ সরকারের ছেলে বিশ্বজিৎ সরকার (২৫) ও দেবহাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আমিনুল মোল্লার ছেলে মো. নুরুজ্জামান (২৪)।
তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই কামাল বলছেন, সোমবার রাতে পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালানোর সময় সাতক্ষীরা পৌরসভার ইসলামপুর গ্রামের বেজেরডাঙ্গা ব্রিজের কাছে মাদক বিক্রেতারা সংঘবদ্ধ হয়ে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
“পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে এক মাদক বিক্রেতা আহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জানা যায় আহত মাদক বিক্রেতার নাম বিশ্বজিৎ সরকার।”
পুলিশ বিশ্বজিতের কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা ও চার বোতল ফেনসিডিলসহ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানান এসআই কামাল।
অপরদিকে একই রাতে দেবহাটা থানায় পুলিশের গুলিতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসআই কামাল বলছেন, সোমবার রাত ১২টার দিকে দেবহাটা থানার পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালানোর সময় পুষ্পকাটি সাকিনের সরদারবাড়ির কাছে বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের পাশে উপস্থিত হলে মাদক বিক্রেতারা সংঘবদ্ধ হয়ে পরপর কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
“পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে এক মাদক বিক্রেতা আহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জানা যায় আহত মাদক বিক্রেতার নাম নুরুজ্জামান।”
পুলিশ নুরুজ্জামানের কাছ থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল ভারতীয় মদসহ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে বলে এসআই কামাল জানাচ্ছেন।
এদিকে গুলিবিদ্ধ বিশ্বজিতের বাবা ফল বিক্রেতা নারায়ণ সরকার বলছেন, তার ছেলেকে দুই তিন আগে সাদা পোশাকের পুলিশ পরিচয়ে টার্মিনাল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
“এরপর বিশ্বজিতের মামা বিজন ও আমি সদর থানা ও ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে বারবার খুঁজতে যাই। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিককেও বিষয়টি জানাই।”
রোববার রাতেও সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতে এক ‘মাদক বিক্রেতা ’ আহত হয়।