পুরস্কার ঘোষণার পর রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তারেক আজিজের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 07 Jun 2016, 07:41 PM
বুধবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান রাজশাহীর পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ।
তিনি বলেন, তারেকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রূপনগর গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল সালেক। তারেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে মেসে থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিকে লেখাপড়া করতেন।
নাশিরুল আরিফ বলেন, “হামলার পর পালিয়ে যাওয়া এক জেএমবি সদস্যর পরিচয় জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় তৈরি একটি ছবি প্রকাশ করে গত ৮ মে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। ওই ছবি প্রকাশের পর জামাল উদ্দিনের সন্ধান পাওয়া যায়, যে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
“জামালই বাগমারার মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত তারেক আজিজের পরিচয় জানায় এবং পুলিশকে তার বাড়ি চিনিয়ে দেয়।”
তারেকের বাবা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ সুপার দাবি করলেও দলটির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি । স্থানীয়রা জানায়, সালেক সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জুমার নামাজের সময় বাগমারার সৈয়দপুর চকপাড়া আহমদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তারেক নিহত হন।
পুলিশ সুপার বলেন, “জামাল জানিয়েছে, ওই দিন তারেকসহ তারা তিনজন বাগমারা মসজিদে গিয়েছিল। তারেকের বুকে বাঁধা ছিল বোমা। বিস্ফোরণের পর তারা দুজন মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। তারা তিনজনই জেএমবির সদস্য বলেও স্বীকার করেছে জামাল। তবে তদন্তের স্বার্থে আরেক জনের নাম এখনই বলছি না।”
জামালের দেওয়া তথ্যানুসারে তারেকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারেকের মা স্বীকার করেছেন সম্প্রতি তারা বিষয়টি জানলেও ভয়ে গোপন রাখেন।
“তারেকের বাড়িতে দুইটি পাসপোর্টসহ জেএমবির ও জামায়াতের বেশ কিছু বইপত্র এবং তারেকের বাবার জামায়াতের রুকন পদ পাওয়ার ফরমও পাওয়া গেছে। পাসপোর্টে তারেক ও তার বাবার একবার ভারতে যাওয়ার ভিসা রয়েছে। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল বলে তারেকের মায়ের দাবি।”