পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে ফরিদপুরের আটটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট আসে না বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
Published : 03 Feb 2016, 05:22 PM
সড়কহীন পদ্মার এই দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ ঘোড়াগাড়ি ও নৌকা বা ট্রলারে যাতায়াত করে। সংকটে তাই এলাকার গর্ভবতী, বৃদ্ধ ও শিশুরা ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নিতে পারে না বলে তারা জানান।
সরজমিনে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন, ডিক্রির চর ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের কিছু এলাকা, চরভদ্রাসন উপজেলার ঝাউকান্দা ও হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারকেলবাড়িয়া, চরনাছিরপুর ও চরমানাই ইউনিয়ন ঘুরে স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে ডেপুটি সিভিল সার্জন ফজিলাতুনন্নেছা বলেন, “প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসক না থাকায় আমরা দুর্গম এলাকাগুলোয় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”
পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেকুজ্জামান মিলন পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকার প্রসূতিরা শহরে যেতে যেতে প্রসব হয়ে যায়। আবার অনেকেই মারা যায়।
তিনি আপাতত প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে নৌ অ্যাম্বুলেন্স দাবি করেন।
এসব এলাকার মানুষ জানান, দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে নদীর ঘাটে যেতে লাগে অনেক সময়। দিনে ঘাটে সব সময় ট্রলার থাকে না, রাতে তো ‘প্রশ্নই আসে না’।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান অভিযোগ করেন, তার ইউনিয়নে একটি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও দুটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক থাকলেও কোনোটিতেই এমবিবিএস চিকিৎসক আসেন না।
এসব কেন্দ্রে চাহিদা অনুপাতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হয় না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ওই দুই চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় মেডিকেল অফিসারের সহকারীদের ছুটি বাদে দৈনিকই অফিস করার কথা। কিন্তু তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না।