গলা কেটে নয়, নারায়ণগঞ্জে এক পরিবারের পাঁচজনকে শ্বাসরোধ এবং মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
Published : 17 Jan 2016, 04:04 PM
রোববার নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান ওই পাঁচজনের লাশের ময়নাতদন্ত করেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রত্যেককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।”
তবে হত্যার আগে কাউকে চেতনানাশক খাওয়ানো হয়েছিল কি-না, এবং নিহত দুই নারীর মধ্যে কাউকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা জানতে ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
শনিবার রাতে শহরের ২ নম্বর বাবুরাইল এলাকার প্রবাসী ইসমাইলের পাঁচতলা বাড়ির একতলার পূর্ব পাশের ফ্ল্যাটে ওই পাঁচজনের লাশ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- তাসলিমা বেগম (৪০), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।
তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানির গাড়ি চালক। শনিবার রাতে বাসায় হত্যাকাণ্ডের খবর জানতে পেরে তিনি ‘অসুস্থ হয়ে’ শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার সকালে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়াণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গলা কেটে বা মাথায় আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
আর নারায়ণগঞ্জ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার এহসান উদ্দিন চৌধুরী রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খুনীরা পেশাদার নয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাতের পর তাদেরকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আসাদুজ্জামানও বলেছেন, হত্যার ধরন দেখে তার মনে হয়েছে খুনিরা পেশাদার কেউ নয়।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
শফিকুলের ভাই শরীফ মিয়া ও তাদের ভাগ্নে মাহফুজ এবং নিহত মোরশেদের খালোতো ভাই শাহাজাদাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।