বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে গাইবান্ধায় যমুনায় শুরু হয়েছে ভাঙন। নদী ভাঙনে গত তিনদিনে জেলার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৪০০ বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে।
Published : 30 Aug 2015, 09:39 PM
অন্যদিকে এখনও জেলার দুই লাখের বেশি মানুষ বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে আছেন। বন্ধ রয়েছে শতাধিক স্কুল। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, প্রায় সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি চার সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তায় দুই, যমুনায় তিন এবং ঘাঘট নদীর পানি ছয় সেন্টিমিটার কমেছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নে গত তিনদিনে বহু ঘরবাড়ি যমুনায় ভেসে গেলেও রোববার থেকে ভাঙন কিছুটা কমেছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আমিরুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি জমে থাকায় ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৩৩০টি গ্রামের দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। এছাড়া ৩৮ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৭ কিলোমিটার কাঁচাপাকা রাস্তা।
তিনি আরও জানান, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য এ পর্যন্ত ২৭৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাত লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ২১৮ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে পাঁচলাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।