ঘটনাটি তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 22 Mar 2024, 11:16 PM
পাবনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে পাওয়া জন্মসনদটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
পরে রাতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে আমিনপুর থানায় মামলা করা হয়।
আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। বিষয়টি তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ পলাতক রয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরির বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেইসঙ্গে কীভাবে জন্মসনদটি তৈরি হলো, কারণ জানতে চেয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা জানিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর একটি জন্মসনদ তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেটি সার্ভারে ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুর থেকে সার্ভারে জন্মসনদটি আর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জন্মসনদের ছবিতে দেখা গেছে, নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম জাস্টিন ট্রুডো। জন্মস্থান পাবনা। জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো, মায়ের জাতীয়তা বাংলাদেশি। বাবার নাম পিয়েরে ট্রুডো, বাবার জাতীয়তাও বাংলাদেশি।