পুলিশ জানায়, ভুয়া বাবা-মা বানিয়ে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে ৮০ হাজার টাকায় শিশু দিঘি মনিকে বিক্রি করা হয়েছিল।
Published : 07 Apr 2025, 02:55 PM
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক শিশুকে অপহরণ করে বিক্রির আট দিন পর যশোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
উদ্ধার হওয়া আট মাসের শিশু দিঘি মনি সিরাজগঞ্জ শহরের গয়লা মহল্লার বাপ্পী মণ্ডল ও মরিয়ম খাতুনের মেয়ে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরখাদুলী গ্রামের কালাম সেখ (৪০) এবং একই উপজেলার কুড়িগাতি গ্রামের হারুন অর রশিদ (৪৪)।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “বাপ্পী ও তার স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার রনতিথা গ্রামের বাদশা মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। ৩০ মার্চ দুপুরে শিশুটির মাকে ঘোল (মাঠা) খাইয়ে অচেতন করে ওই বাড়ি থেকে দিঘি মনিকে অপহরণ করা হয়।
“এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ৩১ মার্চ থানায় মামলা করেন। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪ এপ্রিল রংপুর থেকে কালাম সেখকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫ এপ্রিল রায়গঞ্জ থেকে এ চক্রের অপর সদস্য হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ এপ্রিল দুপুরে যশোরের কোতয়ালী উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সামিউল ইসলামের হেফাজত থেকে অপহৃত শিশু দিঘি মনিকে উদ্ধার করা হয়।”
আসাদুজ্জামান বলেন, “৪২ বছর বয়সি সামিউল ইসলামের কোনো সন্তান নাই। ভুয়া বাবা-মা বানিয়ে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে ৮০ হাজার টাকায় শিশু দিঘি মনিকে বিক্রি করা হয়েছিল। এ চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন নারী-পুরুষ জড়িত রয়েছেন। তাদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।