“ঝুঁকি জেনেও কী করব? ঘূর্ণিঝড়েও তো কিস্তি মাফ নাই।“
Published : 27 May 2024, 04:38 PM
মাদারীপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সোমবার ভোররাত থেকে শহর ও গ্রামের রাস্তাঘাটে কয়েকশ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো জেলা। অনেক স্থানে গাছের গুঁড়ির চাপে পড়ে ভেঙেছে কাঁচাপাকা ঘর।
মাদারীপুর সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, “আজ সারাদিন ও রাতেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে দিনভর প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বের হতে না পেরে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা।
মাদারীপুর ডিসি ব্রিজ এলাকায় কথা হয় ইজিবাইক চালক বিলাস সরদারের সঙ্গে। যাত্রী না থাকায় গাড়ি পার্কিং করে বৃষ্টির মধ্যে একপাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বিলাস সরদার বলেন, “সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ। তবুও গাড়ি নিয়ে বের হইছি। ঝুঁকি জেনেও কী করব? ঘূর্ণিঝড়েও তো কিস্তি মাফ নাই।“
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কাছে এক চা দোকানি বলেন, “দোকান খুলে বসে আছি। বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ে ঘর থেকে কেউ বের হয় না। তাই বেচাকেনাও নাই।“
ঝড়ে শহরের আমিরাবাদ এলাকায় কাওসার হোসেনের বাড়ির রান্নাঘরের ওপরে একটি গাছ পড়ে। নতুন শহর এলাকায় এমরান লতিফের বাড়ির গাছের ডাল ভেঙে রাস্তার ওপরে এসে পড়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেল জেলার বিভিন্ন স্থানে।
তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব মোকাবিলায় মাদারীপুর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কোন ধরনের নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে জানালেন সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় চলছে। এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাইনি।”