গাজীপুরে পৃথক স্থান থেকে ৩ লাশ উদ্ধার

শুক্রবার সকালে দুজনের এবং বৃহস্পতিবার রাতে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে একজনের এবং টঙ্গী থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার সকালে দুজনের এবং বৃহস্পতিবার রাতে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মৃতরা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার উপজেলার কড়িহাতা গ্রামের রবীন্দ্র চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে অনিল চন্দ্র সূত্রধর (৬২), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে ওলি (৪৩) ও টঙ্গীর আমতলী কেরানি বস্তি এলাকার জমিরের ছেলে শওকত আলী (৫০)।

শুক্রবার সকাল ৬টায় কাপাসিয়ার দেওনা গ্রামের সড়কে অনিল চন্দ্র সূত্রধরের মৃত্যু হয় বলে কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন জানিয়েছেন। অনিল কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতেন।

অনিলের স্ত্রী শিলারানী বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামী বাড়ি থেকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। কিছু সময় পর স্থানীয় আব্বাসিয়া বাড়ির মসজিদে লোকজন নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে দেখেন, আমার স্বামী সড়কের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। হাঁটার সময় হোঁচট খেয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তরগাঁও ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের স্থানীয় সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, “অনিলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কীভাবে মারা গেছেন, তা কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেনি। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, তিনি নিখোঁজ ছিলেন না বা কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।”

ওসি কামাল হোসেন বলেন, “আমরা বৃদ্ধের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

গাজীপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় শুক্রবার সকাল ৬টায় টঙ্গীর আমতলী এলাকায় কভার্ড ভ্যানের চাপায় শওকত আলী নিহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সকালে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের টঙ্গীর আমতলী এলাকায় সড়ক পার হচ্ছিলেন শওকত। এ সময় সিলেটগামী কভার্ড ভ্যান চাপা দিলে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শওকতকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা কভার্ড ভ্যানটি আটক করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে শওকতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার টঙ্গীর তুরাগ নদের কামারপাড়া সেতু এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওলির লাশ উদ্ধার করা হয়

বলে টঙ্গী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবুল কাশেম জানান।

তিনি বলেন, “কামারপাড়া সেতুর নিচে নদীর পানিতে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করে। নিহতের পরিবারের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পরিদর্শক কাশেম বলেন, তার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের স্বজনদের আবেদন করলে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করা হবে।