গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গাড়িচাপায় বাইক আরোহী দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন জানান।
নিহতরা হল- শাহীন স্কুল কালিয়াকৈর শাখার নবম শ্রেণির নিরব হোসেন (১৬) এবং মৌচাক স্কাউট স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির জোবায়ের হোসেন (১৬)।
নিরব কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানার ছেলে এবং জোবায়ের সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরদুকাকান্দি গ্রামের শরীফ হোসেনের ছেলে।
তারা উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, দুপুরে দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে চন্দ্রা থেকে সফিপুরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনে একটি বাসকে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে মোটরসাইকেলটি পিছলে মহাসড়কে পড়ে যায়। তখন একইগামী ‘এনডিই সিমেন্ট রেডিমিক্স’ কোম্পানির একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক শিক্ষার্থী মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
সড়ক দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও নাওজর হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোটরসাইকেলের মালিক স্থানীয় রমিজ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে অন্তর মোটরসাইকেল নিয়ে মৌচাক স্কাউট স্কুল এন্ড কলেজে যায়। টিফিনের সময় ছেলের বন্ধু নীরব তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি অল্প সময়ের জন্য চেয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি, আমার ছেলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি, মোটরসাইকেলটি আমার ছেলের কাছ থেকে চেয়ে তার বন্ধু নিয়ে গিয়েছিল। অন্তর সেখানে ছিল না।
ওসি শাহাদত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দুইটি বিনা ময়নাতদন্তে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।