বিজিবি কমান্ডার বলেন, “তিস্তা বিপর্যয়ের কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি কনভয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু গোলাবারুদও ভেসে গেছে বলে তারা জানিয়েছে।”
Published : 08 Oct 2023, 05:40 PM
তিস্তা নদীর পানিতে ভেসে আসা মোট ছয় ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সবশেষ শনিবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট এবং নীলফামারীর ডোমার সীমান্ত দিয়ে বিজিবি দুটি মরদেহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
এ নিয়ে তিন দিনে এক নারী ও পাঁচ পুরুষের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে রংপুর বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইয়াছির জাহান হোসেন জানান।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিমে একটি বড় আকারের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেই এলাকায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে; নিখোঁজও রয়েছেন অনেকে। তিস্তার সেই পানি উজান থেকে ভাটিতে নেমে আসছে। এতে বাংলাদেশের উত্তরের চার জেলায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে; হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার নীলফামারীর ডিমলা, রংপুরের গংগাচড়া এবং লালমনিরহাটের সদর ও হাতিবান্ধা এলাকার তিস্তা নদী থেকে ছয় ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি কমান্ডার কর্নেল ইয়াছির বলেন, “তিস্তা বিপর্যয়ের কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি কনভয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু গোলাবারুদও ভেসে গেছে বলে তারা জানিয়েছেন। আমরা ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে পাঁচজন পুরুষ সেনাবাহিনীর জোয়ান বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে।”
“হস্তান্তর হওয়া মরদেহগুলোর শারীরিক গঠন ও বয়স দেখে তারা তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে ভারত। প্রতিটি মরদেহের ডিএনএ টেস্ট করাবে এবং আমাদের বিষয়টি জানাবে।
কর্নেল ইয়াছির আরও বলেন, “আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলেছি। কেননা, অস্ত্র বা গোলাবারুদ ভেসে এলে সেগুলোতে কেউ যেন হাত না দেয়। না বুঝে হাত দিলে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষতি হতে পারে।
“অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেখামাত্রই স্থানীয় পুলিশ বা বিজিবিকে খবর দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে”, যোগ করেন বিজিবি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: