স্পেনের বিপক্ষে জ্বলে ওঠার আশায় সানে

এবারের ইউরোতে নিজের সেরা পারফরম্যান্স স্প্যানিশদের বিপক্ষে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী জার্মানির এই উইঙ্গার।

চোটের কারণে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিয়েই সংশয়ে ছিলেন লেরয় সানে। শঙ্কার সেই কালো মেঘ সরিয়ে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে এখন খেলছেন তিনি। তবে ছন্দ খুঁজে ফিরছেন জার্মান এই উইঙ্গার। আশায় আছেন, স্পেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে আলো ছড়িয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার।

ইউরোতে এখন পর্যন্ত জার্মানির খেলা চারটি ম্যাচেই খেলেছেন সানে। তবে চোট কাটিয়ে ফেরা এই ফুটবলারকে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা শেষ ষোলোর লড়াইয়ে তাকে শুরু থেকেই দেওয়া হয় সুযোগ। কিন্তু ৮৮ মিনিট খেলে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি।

তবে আশা হারাচ্ছেন না ২৮ বছর বয়সী সানে। তার বিশ্বাস, স্পেনের বিপক্ষে আগামী শুক্রবারের ম্যাচেও সুযোগ পাবেন শুরুর একাদশে। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টুর্নামেন্টে নিজের সেরা মুহূর্তটা উপহার দিয়ে দলকে সহায়তা করতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

“আমি আশা করি এটা (টুর্নামেন্টে নিজের সেরা মুহূর্ত) আসবে এবং সেটা আমাদের দলকেও সাহায্য করবে। এটাই আমার দায়িত্ব, যা আমি পূরণ করতে চাই এবং আশা করি মুহূর্তটি পরের ম্যাচেই ধরা দিবে।”

ইউরো শুরুর দিন কয়েক আগেও এখানে খেলা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন সানে। তবে এখন আর কোনো সমস্যা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই ফুটবলার।

“আমি জানতাম না, এই চোট কতদিন থাকবে এবং আমি টুর্নামেন্টে খেলতে পারব কিনা। শেষ পর্যন্ত আমি এখানে এবং সবকিছু চাওয়া অনুযায়ী হওয়ায়, সেরে উঠতে পারায় এবং ইউরোর জন্য এখানে থাকতে পারায় আমি খুশি।”

“চোট এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি, তবে আগের চেয়ে অনেক ভালো। এখন আর ব্যথা নেই এবং এটি খুব ভালো দিক।”

২০১৬ সালের ইউরোতে সেমি-ফাইনালে খেলা জার্মানি গত আসরে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। এবার নিজেদের সেরাটা দিয়ে আরেকটি সেমি-ফাইনাল তো বটেই, এক দশকের মধ্যে প্রথম বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে চায় তারা।

চাওয়া পূরণ করতে আগে টপকাতে হবে স্পেন বাধা। দলটির বিপক্ষে যে ১৯৮৮ সালের পর কোনো টুর্নামেন্টেই জিততে পারেনি তারা। এবারও স্প্যানিশরা আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল হিসেবে জিতেছে আসরের সবকটি ম্যাচ।

তিকি-তাকা কৌশল থেকে সরে এসে খেলার ধরন বদলে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে স্পেন। যেখানে বড় ভূমিকা রাখছেন তাদের দুই উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামস। প্রতিপক্ষের এই দুই তরুণের প্রশংসা করতে ভুললেন না সানে।

“আক্রমণাত্মক ফুটবলে স্পেন খুব ভালো করছে। বিশেষ করে যখন তারা পজেশন পায়, তখন তারা তাৎক্ষণিকভাবে সামনের দিকে এগোতে চায়। খুবই ক্ষিপ্র দুইজন উইঙ্গার থাকায় তাদের দলে বাড়তি অস্ত্র যুক্ত হয়েছে।”

“অতীতে স্পেনের বিপক্ষে যা হয়েছে, আমরা এটা বদলাতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য পরের রাউন্ডে যাওয়া এবং তা অর্জনের জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করবো।”

এই দুই দল যৌথভাবে ইউরোর রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন, তিনবার করে জিতেছে শিরোপা। এবার রেকর্ডটি একার করে নেওয়ার অভিযানে আছে তারা।