“বরিশাল বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী; ফলে সরকারের পক্ষ থেকে আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন করতে আইইডিসিআর থেকে টিম এসেছে।”
Published : 23 Apr 2024, 08:54 PM
তীব্র গরমের মধ্যে পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়ে চলছে; যার কারণ অনুসন্ধানে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল এ জেলায় এসেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব অনুসন্ধানে পটুয়াখালীতে এসে পৌঁছেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাত সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল।
আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেই অনুসন্ধানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে বলে জানান দিলরুবা।
তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে বরিশাল বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আউটব্রেক ইনভেস্টিগেশন করতে আইইডিসিআর থেকে টিম এসেছেন। আমরা প্রতিনিধিদলকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি।”
সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- আইইডিসিআরের মেডিকেল অফিসার ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মো. মাইনুল হাসান, আইইডিসিআরের সহকারী অধ্যাপক (এপিডেমিওলজিস্ট) মো. মুঈদুর রহমান, মেডিকেল এপিডেমিওলজিস্ট সাদিয়া সুলতানা, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার সুমা এবং তিনজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আগামী তিনদিন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্য, খাবার পানি ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানির উৎস, আক্রান্তের সময় ও ধরণ ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করব।”
পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত কারণ ও ফলাফল সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে জমা করা হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১১০ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালেই নতুন ভর্তি রোগী সংখ্যা ৪১ জন। এক সপ্তাহে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৭৯ জন; সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭০ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডায়রিয়ায় ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৭৯৪ জন এবং এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৫ জন। এর অর্ধেক আক্রান্ত হয়েছে গত এক মাসে।
জেলায় এখনও প্রায় তিন হাজার ব্যাগ আইভি স্যালাইন মজুদ আছে বলে জানায় সিভিল সার্জনের কার্যালয়।