খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চাবাই সড়কের মারমা উন্নয়ন সংসদ আয়োজিত গণসমাবেশে সুধাকর ত্রিপুরা একথা বলেন।
Published : 02 Dec 2024, 07:28 PM
পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ও দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জেএসএস আরো ‘আত্মত্যাগ’ করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।
তিনি বলেছেন, “পার্টির নেতৃত্বে জনগণকে অধিকতর প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত হতে হবে। জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই জোরদার করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।”
সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চাবাই সড়কের মারমা উন্নয়ন সংসদ আয়োজিত গণসমাবেশে একথা বলেন তিনি।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পাহাড়ের সংঘাত থামাতে জেএসএসের সঙ্গে চুক্তি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। যার মধ্য দিয়ে পাহাড়ে তিন দশক ধরে চলে সহিংসতার অবসান ঘটে। এই চুক্তির অনেকগুলো ধারা ছিল। যার কিছু তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়; বাকিগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল। যদিও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
সমাবেশে সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, “তাই চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সব মুক্তিকামী আদি জনগণকে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।”
গণসমাবেশে জেএসএসের সহসভাপতি সুভাষ চাকমা বলেন, “বিগত সরকারগুলো ক্ষমতার মসনদে বসে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল মাত্র। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জুম্ম জনগণের একমাত্র রক্ষাকবচ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কোনো উদ্যেগ দেখা যায়নি। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারগুলো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরের কথা, অধিকন্তু অব্যাহতভাবে অসত্য তথ্য প্রদান করে চলেছে।”
সমাবেশে উপজাতীয় শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার চুক্তি-পূর্ব শাসকগোষ্ঠীর মতো পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে দমন করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভূমি বেদখল ও ভূমি থেকে উচ্ছেদ, নারী ধর্ষণসহ জাতিগত নির্মূলীকরণের সব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
সমাবেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রবি শংকর চাকমা, ধীমান খীসা, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, ভাইবোন ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুজন চাকমা, কার্বারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রনিক ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সহসভাপতি সুনেন্টু চাকমা, মহিলা সমিতির সভাপতি কাকলী খীসা, যুব সমিতির সভাপতি জ্ঞান প্রিয় চাকমা বক্তব্য দেন।