১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়ন থেকে দুই দফায় ১৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা।
Published : 16 Feb 2025, 08:16 PM
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে আবার ২০ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার গভীর রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড গয়ালমারা মুরুংঝিড়ি রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান।
অপহৃতরা হলেন- মো. ফারুক (২৬), মো. আইয়ুব আলী (২৬), মো. সিদ্দিক (৪০), মো. আব্দুল খালেক (২০), আব্দুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), জিয়াউর রহমান (৪৫), মো. মোবারক (২৫), মো. হারুল (৩০), সৈয়দ নুর (২৮), রমিজ উদ্দিন (৩০), মো. কায়ছার (৩৮), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. ইমরান (১৭), মঞ্জুর (৩০), আফসার আলী (২৫), মো. খাইরুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মো. মবিন (২৫)।
তারা সবাই কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মংমে মার্মা বলেন, “ঘটনাস্থলটি দুই উপজেলার সীমানায়। কতজনকে নিয়ে গেছে সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।”
ইউপি সদস্য জিয়াবুল হক বলেন, “চাঁদার দাবিতে ও দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে থাকতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের লামাসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।”
লামা থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলার সীমান্তে দুর্গম এলাকা গয়ালমারা মুরুংঝিড়ি রাবার বাগান। সেখান থেকে শ্রমিকদের সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে। তাদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।”
গত ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়ন থেকে দুই দফায় ১৪ শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ফিরে আসে।