Published : 03 May 2025, 08:23 PM
পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার।
নিহত রাশিদুল ইসলাম (৩৩) উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামের কিয়াম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, ধান কাটার কাজে এক মাস আগে বরিশাল যান রাশিদুল। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে ট্রাকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সকালে ধান ভাগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
সকাল ১০টার দিকে নিভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, “আমার স্বামী ধান কেটে একমাস পর বাড়ি ফিরেছিল। সকালে ধান ভাগ করতে যাচ্ছিল, তখনই ওর ওপরে হামলা করে। যারা আমার স্বামীকে মারল তাদের বিচার চাই আমি। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে কী করব?”
পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষ এমপি নাসিরুল হক সাবুর এবং অপরপক্ষ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদের অনুসারী।
“রাশিদুল ছিলেন সাবু গ্রুপের কর্মী। আর হামলাকারীরা হারুন গ্রুপের অনুসারী। তাকে যারা মেরেছে তারা আগেও ওর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। রাশিদু্লকে না পেয়ে ওর বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করে।”
তিনি বলেন, “আজ সকালে হারুনের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এলাকার লোকজন এই হত্যার বিচার চাই।”
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
“পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের শনাক্তের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।”